অনিয়ম এবং সমালোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির পদত্যাগ ।

গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নানান অনিয়মের খবর বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকদের নিম্ন মানের সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচিত হতে থাকেন তিনি। এরপর রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হয়।করোনাসংক্রান্ত বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির প্রকল্পের কেনাকাটায় অনিয়মের খবরও প্রকাশিত হয়। রিজেন্ট হাসপাতালে সরকারি যন্ত্রপাতি সরবরাহের অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান স্বাস্থ্য অধিদপ্ত এর ডিজি আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগ এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গতকাল দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদে নিয়োগ দেয় সরকার। চাকরির মেয়াদ শেষে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ তাকে দুই বছরের চুক্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সেই আদেশে বলা হয়েছিল, ১৫ এপ্রিল বা যোগদানের তারিখ থেকে তিনি দুই বছরের জন্য মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন। সেই হিসেবে, আগামী বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তার চুক্তির মেয়াদ ছিল। ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা আবুল কালাম আজাদ ২০০১ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।
১৯৯০ সালে তত্কালীন আইপিজিএমআর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে এমফিল ডিগ্রি নেন তিনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক এবং অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।