ওয়াশিংটনের অব্যাহত চাপের মুখেও পরমাণু চুক্তির বিষয়ে ইরানের পাশে থাকলো বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো।

মঙ্গলবার ভিয়েনায় এক বৈঠকে সব পক্ষ এমন অঙ্গীকার করেছে৷ আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি হেলগা স্মিড এক টুইট বার্তায় বলেন, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ইরান চুক্তি বাঁচিয়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বোঝাপড়া পুরোপুরি কার্যকর করার পথ খুঁজতে বদ্ধপরিকর।
ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে সেই চুক্তিকেই হাতিয়ার করে ইরানের উপর জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জোড় চেষ্টা চালায়। ইরান চুক্তি লঙ্ঘন করছে, এমন যুক্তি দেখিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সে দেশের বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া চালু করতেও চাইছে ওয়াশিংটন৷
ওয়াশিংটনের অব্যাহত চাপের মুখেও পরমাণু চুক্তির বিষয়ে ইরানের পাশে থাকলো বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো। ইরান ও স্বাক্ষরকারী দেশগুলো আবারও পরমাণু চুক্তির প্রতি আস্থা প্রকাশ করলো৷ ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব করেছিল তা পাশ কাটিয়ে বিরোধিতার প্রশ্নেও ঐক্য অটুট রেখেছে দেশগুলো।
ফলে ওয়াশিংটনের প্রবল চাপ সত্ত্বেও ইরান ও আন্তর্জাতিক সমাজের মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি টিকে রইলো। আমেরিকা ছাড়া স্বাক্ষরকারী বাকি দেশ হিসেবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীন পরমাণু চুক্তি চালু রাখতে বদ্ধপরিকর৷