কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ায় শুক্রবার হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৯। তবে এতে তাৎক্ষণিক বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দেওয়া হয়নি কোনো সুনামি সংকেতও।
ভূমিকম্পটির এপিসেন্টার ছিল বান্দা সাগরে। সুলাওয়েসি দ্বীপের কাতাবু নামক জায়গার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে অনেক বেশি গভীরে অবস্থান হওয়ায় এই ভূমিকম্পে তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূমিকম্প বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের ফলে তারা এখনো বিপর্যয়ের খবর পায়নি।
এপি সেন্টার থেকে দূর দক্ষিণের শহর কুপাংয়ে থাকা এএফপি’র প্রতিবেদন জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ভবনগুলো কেঁপে উঠলে মানুষের মাঝে আতঙ্কিত জনসাধারণ ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশটিতে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত খুব সাধারণ ঘটনা। দেশটি ভূমিকম্প প্রবণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত, যেখানে মহাদেশীয় টেকটোনিক প্লেটগুলোর সম্মিলন ঘটেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় সবশেষ ২০১৮ সালে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। সুলায়েসি দ্বীপ এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামিতে ৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০০৪ সালে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে নজিরবিহীন বিপর্যয়ের কারণে পড়ে ইন্দোনেশিয়া। সৃষ্ট সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ার ১ লাখ ৭০ হাজার জনসহ এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।