চুলের যত্নে জেনে নিন

জেনে নিন জটহীন ও মসৃণ চুল রাখার উপায়-
জট পড়ার কারণ:
চুলে রং, দীর্ঘদিন হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ব্লিচ বা নিয়মিত হেয়ার স্প্রের প্রয়োগ এর অন্যতম কারণ। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল না পেলে, যত্নের অভাবেও চুল নিষ্প্রাণ হয়।
এ ছাড়া খারাপ আবহাওয়া ও দূষণের সংস্পর্শে এলে চুলে যে চিটচিটে ভাব তৈরি হয়, তার থেকেও জট পাকিয়ে যায়।
অবিন্যস্ত চুলের যত্নে:
আমন্ড অয়েল ও ডিমের প্যাক ফিরিয়ে আনে চুলের হারানো জেল্লা। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে চল্লিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
নারকেল তেল ও ভিটামিন ই মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন মিনিট পনেরো। চল্লিশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
জট কাটাতে পাকা কলা চটকে, মধু ও নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। বৃষ্টিতে ভিজলে চুলের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে এই প্যাক।
খানিকটা মেথি রাতে ভিজিয়ে, পরদিন ছেঁকে সেই পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। বাড়তি তৈলাক্ত ভাব পলকে উধাও।
চুল নষ্ট হওয়ার আগেই নারকেলের দুধ হালকা আঁচে গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
অবাধ্য অবিন্যস্ত চুলে অ্যালোভেরা জেল দারুণ কাজ করে। এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারকেল তেল, অলিভ বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
তিন চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধুর মিশ্রণ নিয়মিত লাগালেও জট চলে যায়।
নিয়মিত যত্ন
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারের অল্প সাহচর্যই চুল মসৃণ ও পেলব করে, জটও প্রতিরোধ করে।
চুল ধোয়ার পরে তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে চুল শুকিয়ে নিন।
ভেজা চুল নরম থাকে, আঁচড়ালে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কার থাকে। চুল শুকিয়ে আঁচড়ান।
জট ছাড়ানোর নিয়ম, চুলের নিচ থেকে শুরু করা।
চুল শুকিয়ে এলে বড় দাঁতের কাঠের চিরুনির সাহায্যে জট ছাড়ান।
চুলের আগা নিয়মিত ট্রিম করলে জট কম পড়ে।