প্রবাসী আয়ে ৪৪ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে সোনালী ব্যাংক

সোনালী ব্যাংকের পক্ষে সৌদি আরব ও কুয়েতের চারটি এক্সচেঞ্জ হাউস প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করত। প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্তা পেয়ে দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে সেই পরিমাণ রেমিট্যান্স পৌঁছে দিত সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো। কিন্তু সৌদি ও কুয়েতের চার প্রতিষ্ঠান ১৫ বছরেও সেই অর্থ সোনালী ব্যাংককে দেয়নি। এখন এসব রেমিট্যান্স হাউসের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ৪৪ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকটি।
সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবুল হাসেম বলেন, এ কারণে বছরে ব্যাংক প্রায় ১০০ কোটি টাকা মুনাফার সুযোগ হারিয়েছে। তবে এটি একটি রাষ্ট্রীয় বিষয়। এ কারণে ওই টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানাতে পারেননি। ওই টাকা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংককে এক মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়।
বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের লন্ডন কার্যক্রমে ২০১৭ সালে লোকসান হয় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে ২০১৮ সালে ৬৫ লাখ টাকা মুনাফা হয়।
ব্যাংকটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান গত মাসে যোগ দেওয়ায় এসব নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
এডমিন/ডেইলিজার্নাল বিডি