বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় সদরঘাটে।

অনেকের মুখে নেই মাস্ক। প্রশাসনের নাকের ডগায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। জানা যায়, লঞ্চ টার্মিনালের বাইরে প্রশাসনের কড়া নির্দেশনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও ভেতরে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র।
ঈদে বিগত বছরগুলোর ন্যায়, এবারো যাত্রী পরিবহন করছে লঞ্চগুলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে লঞ্চগুলো। নেই শারীরিক দূরত্বের বালাই। লঞ্চ স্টাফ ও যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক।
টার্মিনালে নেই তিল পরিমাণ খালি জায়গা। ঘাটে ভিড়ানো লঞ্চগুলো লোকে লোকারণ্য। একজন অন্যজনের গায়ে লেগে আছে। লঞ্চের ডেকে বসার স্থানও নেই। প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে প্রতিটি লঞ্চের ছাদ মানুষে ভর্তি। অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর পরও লঞ্চ না ছাড়ায় চিৎকার করছেন যাত্রীরা। কে শুনে কার কথা।
লঞ্চের স্টাফ জাকির হোসেন জানান, সরকারের আইন আছে কাগজে-কলমে। বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই চলছে সবগুলো লঞ্চ। যাত্রী উঠলে আমাদের কিছু করার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো কিছু বলছে না। তারা কি দেখে না? ঈদের সময় করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব নয়।
সূত্রে জানা যায়, সদরঘাট ও লঞ্চে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। এ ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। যাত্রীরা একজন আরেক জনের গা ঘেঁষে বসে আছেন। করোনা প্রতিরোধে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। এমন করে যাত্রী পরিবহন করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া গ্রামের বাড়িতে থাকা মানুষদের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।