বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ।

১৯৭১ সালের ৯ মে দেশ থেকে করাচিতে ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেন মতিউর রহমান। এরপর ২০ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষানবিশ পাইলটকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে পাকিস্তানি জঙ্গি বিমান দখলে নিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি।
প্রায় ভারতের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া অবস্থায় পাকিস্তানি শিক্ষানবিশ পাইলট জ্ঞান ফিরে পাওয়ায় বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেন। এ সময় তার সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রাশেদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন।
বিমানটি কম উচ্চতায় উড্ডয়ন করার ফলে একসময় রাশেদসহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ২০ আগস্ট সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সহকারি বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম আহসানুল হক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিমানবাহিনী ছাড়াও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের পরিবার, বিমান বাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ ইউনিট এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সংগঠন মিরপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এর আগে, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ইউনিটেও দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিমান সেনাগণ উপস্থিত ছিলেন।